সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন থেকে ৬ জন অপহরণকারীকে আটক করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। একইসময় অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতকানিয়া থানায় মামলা রুজু করেছে অপহৃতের পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। এরপর মুক্তিপন আদায়ের জন্য তাকে সোনাকানিয়ার ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের পশ্চিমে পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। সেখানে অপহৃত ব্যক্তিকে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী। এসময় এলাকাবাসী অপহৃতের চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে আসে। অপহরণকারীদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোঃ মহিউদ্দিন মেম্বারকে জানায়। মেম্বারের সহায়তায় পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ। এরপর অপহৃত ব্যক্তিসহ ৬ জন অপহরণকারীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানায় সাতকানিয়া থানার এসআই রাজু আহমেদ। মামলা নংঃ২৮/২০২২।
পুলিশ সূত্র জানায়, অপহৃত ব্যক্তি পদুয়া তেওরিখীল পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের মাতারবাড়ির মৃত আবুল হোসেন চৌধুরীর ছেলে। অপহরণে অভিযুক্তরা হলো-কেঁওচিয়া নয় ও দশ নাম্বার ওয়ার্ডের কোরবান আলি, পিতা আমির হোসেন। মোহাম্মদ ইকবাল, পিতা মোহাম্মদ ইসমাইল। আব্দুল মুমিন, পিতা আলতাফ মিয়া। মোহাঃ শাওন, পিতা আমিনুল হক। মিনহাজ, পিতাঃ হোসেন আহমদ। এছাড়া ঢেমশা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মো: রাকিব, পিতা আব্বাস উদ্দিন ও সোনাকানিয়া ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মোঃ ফয়সাল, পিতা মনজুর আলম।
এদের মধ্যে অভিযুক্ত ফয়সালের এসএসসি পরীক্ষা থাকায় সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জিম্মাদার হয়ে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘সকালে সোনাকানিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল থেকে একদল অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। দুবৃত্তরা মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা (কেরানিহাট) থেকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়।’
Leave a Reply